নীতা আমার কাছে এক ধরনের মর্ষকামী চরিত্র। শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস
থেকে নির্মিত ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারাম্ব চলচ্চিত্রটির নায়িকা।
পৃথিবীর যাবতীয় কষ্ট, অপমান, মার খাওয়া চরিত্র নীতা। ছোটবেলায় যখন ছবিটি
প্রথম দেখি, তখন আমার বয়স খুব বেশি হলে আট। সেই থেকে নীতা আমার মগজে
প্রোথিত একটি বীজ, যখন কাঁদতে ইচ্ছে হয় কোনো অনির্ণীত, অজ্ঞাত কারণে,
নীতাকে মনে করলেই চোখ ভিজে ওঠে। হৃদয় মুচড়ে কান্না ঠেলে ওঠে।
Saturday, June 28, 2014
উপমহাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নারীর অনুকূলে কখনও ছিল না। বরং তাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চলেছে। ইতিহাসের নানা পর্যায়ে এই চেষ্টার প্রধান একটি অংশ রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার- লিখেছেন তুহিন ওয়াদুদ
বাংলা
ভূখণ্ডে রাজনীতিতে ধর্ম
ব্যবহার ও
নারীদের অবরুদ্ধ জীবনের
ইতিহাস
অনেক
পুরানো। ধর্মকে
ব্যবহার করে
ক্ষমতাসীন হবার
চেষ্টা
দেড়
হাজার
বছরের।
ব্রিটিশরাও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার
পর
রাষ্ট্র নিরুপদ্রব রাখার
জন্য
তিন
ধর্মের
ত্রিমাত্রিক ব্যবহার শুরু
করে।
ব্রিটিশরা তাদের
খ্রিস্টানপন্থী বাঙালিদের সংখ্যা
বৃদ্ধির চেষ্টা
করতে
থাকে।
অন্যদিকে মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে অখণ্ড বাঙালি শক্তিকে দু’টি ভাগে বিভাজিত করে শাসন কার্যের কাল-পরিধি বাড়ায়। কাল-পরম্পরায় বাঙালি নারীসমাজ ছিল গৃহবাসী। গৃহের বাইরে তাদের চলাচল ছিল অত্যন্ত সীমিত। হিন্দু-মুসলিমনির্বিশেষে এ-অবস্থা বিরাজিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনামল শুরু হওয়ার পর বাংলা ভূখণ্ডের যারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হতে থাকে তাদের দ্বারা এবং যারা পাশ্চাত্য জীবনাচরণকে মেনে নেন তাদের দ্বারা বাংলার নারীসমাজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার ব্যবস্থাসহ অন্য সকল বিষয়ে গৃহের বাইরে আনার একটি সামাজিক চেষ্টা চলতে থাকে।
অন্যদিকে মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে অখণ্ড বাঙালি শক্তিকে দু’টি ভাগে বিভাজিত করে শাসন কার্যের কাল-পরিধি বাড়ায়। কাল-পরম্পরায় বাঙালি নারীসমাজ ছিল গৃহবাসী। গৃহের বাইরে তাদের চলাচল ছিল অত্যন্ত সীমিত। হিন্দু-মুসলিমনির্বিশেষে এ-অবস্থা বিরাজিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনামল শুরু হওয়ার পর বাংলা ভূখণ্ডের যারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হতে থাকে তাদের দ্বারা এবং যারা পাশ্চাত্য জীবনাচরণকে মেনে নেন তাদের দ্বারা বাংলার নারীসমাজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার ব্যবস্থাসহ অন্য সকল বিষয়ে গৃহের বাইরে আনার একটি সামাজিক চেষ্টা চলতে থাকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)